জনশক্তি রফতানির বড় বাজার বন্ধ কমছে প্রবাসী আয়
এম সায়েম টিপু
সরকারি হিসাবে গত অর্থবছরে বিদেশ থেকে প্রবাসীরা প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার বা ৭৪ হাজার কোটি টাকা পাঠিয়েছে। এ হিসাব শুধু ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা টাকা। ধারণা করা হয়, সমপরিমাণ টাকা অবৈধ চ্যানেলে আসে। এ আয় বাড়িয়ে ৩০ বিলিয়ন বা ২ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা পর্যন- নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞরা। এজন্য খুব বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। শুধু সরকারের কিছু উদ্যোগ, কূটনৈতিক তৎপরতারই প্রয়োজন। যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা এবং বাজার খুঁজে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেই দেশ বড় ধরনের লাভবান হতে পারে। কিন্তু বিশাল সম্ভাবনার এ খাত ভয়াবহভাবে মন্দাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। কিছু ব্যবসায়ী অতি মুনাফার লিপ্সা ও সরকারের অবহেলায় বর্তমানে কররুণ অবস্থার সৃষ্টি বলে মনে করেন এ খাতের অভিজ্ঞরা।
প্রতিবেশী, প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর যেখানে প্রতিনিয়ত জনশক্তি রফতানি ও প্রবাসী আয় বাড়ছে বাংলাদেশের সেখানে কমে প্রায় অর্ধেকে চলে এসেছে। জনশক্তি রফতানির অন্যতম বাজার মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশে এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়ায় গত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে লোক নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কিছু কিছু লোক যাচ্ছে শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এসব দেশ থেকে প্রতিদিনই খালি হাতে ফেরত আসছে হাজার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক।
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় লোক নেয়া বন্ধ করলেও বিশ্বের একমাত্র হিন্দুপ্রধান রাষ্ট্র্র নেপাল ও ভারত থেকে লোক নিচ্ছে। এছাড়াও কুয়েত, কাতার, ওমানও লোক নিচ্ছে পাকিস্তান, ভারত, ফিলিপাইন ও নেপাল থেকে। আগে মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে পছন্দের শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশি ৭০ লাখ কমর্ীর মধ্যে ৩৫ লাখই থাকেন সৌদি আরব, কুয়েত ও মালয়েশিয়ায়। কাজেই এ তিন দেশের বাজার চালু করা না গেলে আগামীতে জনশক্তি রফতানি খাতে আরো ভয়াবহ দুরবস্থা নেমে আসবে। সরকারি হিসাবে ১৯৭৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গেছে প্রায় ৭১ লাখ বাংলাদেশি। তারা এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা দেশে পাঠিয়েছে। বর্তমানে জনশক্তি রফতানি ও রেমিট্যান্স দুটোই কমেছে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে মোট জনশক্তি রফতানি হয়েছে ৮ লাখ ৩২ হাজার ৬০৯ জন। ২০০৮ সালে রফতানি হয় ৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫ জন। ২০০৯ সালে কমে হয় ৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৭৮ জন। ২০১০ সালে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে মোট জনশক্তি রফতানি হয় ৩ লাখ ৫৬ হাজার ১০২ জন। দেখা যায়, ২০০৮-০৯ সাল থেকে প্রধান রফতানি বাজার সৌদি আরব, কুয়েত, মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি প্রায় শূন্যের কোঠায় নামতে শুরু করেছে। সিঙ্গাপুর, ওমান, বাহরাইনসহ কয়েকটি দেশে কিছু কিছু জনশক্তি রফতানি হওয়ায় মোট রফতানির পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
অপরদিকে চলতি অর্থবছরে ৪ লাখ ৭৭ হাজার জনশক্তি রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ৫ মাসে গেছে মাত্র ১ লাখ ৫৩ হাজার। যা বছর শেষে লক্ষ্যমাত্রার ৬৩ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হবে। একইভাবে প্রবাসীদের পাঠানো আয় রেমিট্যান্সও কমতে থাকে।
এদিকে ২০০৯ সালের এপ্রিলে এবং এ বছরের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্র্র, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীসহ উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল নিয়ে সৌদি আরব, কুয়েত ও মালয়েশিয়া সফর শেষে বলেছিলেন বন্ধ শ্রমবাজার খুলে দেয়া হবে। এছাড়াও পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী দীপু মণি ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী খোন্দকার মোশাররফ হোসেন মালয়েশিয়ার সফর শেষে সে দেশের শ্রমবাজার সংকট কেটে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পরও সমস্যার কোনো সুরাহা হয়নি।
জনশক্তি রফতানির এ অবস্থার জন্য এ খাতের ব্যবসায়ীরা সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলে মনে করেন। জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সভাপতি আবুল বাশার বলেন, কূটনৈতিক দুর্বলতার জন্য আমরা একের পর এক বাজার হারাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, জনশক্তি রফতানি বাড়াতে প্রতিপক্ষ দেশ যেখানে প্রতি মাসে কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়, সেখানে বছরেও আমাদের কোনো তৎপরতা দেখা যায় না। তিনি বলেন, আমরা কোনো দিক-নির্দেশনা পাচ্ছি না। এখানে উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন থেকে জনশক্তি রফতানিকারকরা দাবি জানিয়ে আসছিল, জোর কূটনীতিক তৎপরতা শুরু না করলে সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, ওমানসহ মুসলিম দেশগুলোতে জনশক্তি রফতানি চূড়ান্তভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। এখন সে আশঙ্কাই সত্য হয়ে দাঁড়াল।
এদিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার বলেন, অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় এবং জনশক্তি রফতানিকারকদের কারণে বিভিন্ন দেশে শ্রমবাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ। সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার হারানোর এটাই প্রধান কারণ জানিয়ে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এ অবস্থা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের শ্রমবাজার ভবিষ্যতে আরো সংকুচিত হয়ে পড়বে। মন্ত্রী স্বীকার করে বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার একেবারেই সংকুচিত হয়েছে।
বায়রার মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ব্যবসা এখন প্রায় বন্ধ। অনেক জনশক্তি রফতানিকারক দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ করতে না পেরে ব্যবসা গুটিয়ে আবার অনেকে সংকুচিত করে কোনোরকমে টিকে আছে। তিনি বলেন, এ অবস্থায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে রয়েছে বায়রা নেতারা। বায়রার সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র্র মন্ত্রীসহ সরকারের শীর্ষপর্যায়ের কূটনীতিক তৎপরতাই পারে ভয়াবহ এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে। তার মতে, সৌদি আরব, কুয়েতসহ যেখানে প্রধানমন্ত্রী সফর করেছেন, সেখানে ফলোআপ দরকার ছিল।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবেও প্রায় ২ বছর ধরে জনশক্তি রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি হিসাবে সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রমিক রয়েছে প্রায় ২৬ লাখ। আর বেসরকারি হিসাবে মোট বাংলাদেশির সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি জনশক্তি রফতানির দেশ সৌদি আরবে গত ২ বছরে মাত্র ২০ হাজার লোক গেছে। এর আগে ২০০৮ সাল বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব গেছে ১ লাখ ৩২ হাজার লোক। ২০০৭ সালে গেছে ২ লাখ ৪ হাজার ১১২ জন। একই অবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও।
এছাড়া সৌদি আরবে আকামা পরিবর্তনের (চাকরি পরিবর্তন) সুযোগ না পাওয়ায় সেখানে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছেন। এর মধ্যে লক্ষাধিক শ্রমিক আকামা সমস্যায় পালিয়ে অবৈধভাবে কাজ করছেন। আবার যারা পুলিশের হাতে ধরা পড়ছেন তাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল থেকে শ্রমিক নেয়া ও আকামা পরিবর্তনের সুযোগ দেয়া হলেও বাংলাদেশ একেবারেই বঞ্চিত।
কাতারে ২০০৭-০৮ সালে প্রায় ৪১ হাজার রফতানি হলেও ২০০৯-১০ সালে রফতানি হয়েছে ২২ হাজার ৫০০ জন। ওমান থেকে লক্ষাধিক বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর আয়োজন চূড়ান- হয়ে গেলেও তাদের জন্য সরকারের কোনো তৎপরতা নেই। জানা যায়, ওমানে প্রায় ৩ লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকলেও এর মধ্যে অবৈধ লক্ষাধিক বাংলাদেশি শ্রমিকের ভাগ্য এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জনশক্তি রফতানি ব্যবসায়ীরা বলেন, কূটনৈতিক তৎপরতার অভাব ও সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশি শ্রমিক এবং ব্যবসায়ীদের অনৈতিক, অবৈধ কার্যক্রমের প্রচারণার জন্য বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাসহ প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য দেশের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে সৌদি সরকারের কাছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ইমেজ খারাপ হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার কুয়েতে প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশি আছে। মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশটিতে গত ৩ বছর ধরে বাংলাদেশি জনশক্তি রফতানি বন্ধ আছে। বাজারটি চালু করতে কূটনৈতিক উদ্যোগ তেমন নেয়া হয়নি। এ বছরের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সফরের পরও কুয়েতের শ্রমবাজার খুলে দেয়ার ব্যাপারে আশাপ্রদ কোনো খবর পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুয়েতের আমিরের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার অনুরোধ জানালেও কুয়েতের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো আশার বাণী শোনানো হয়নি। এমনকি বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে যে ৪টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল সেখানেও বন্ধ শ্রমবাজার খুলে দেয়ার ব্যাপারে কোনো কিছু ছিল না বলে জানা যায়। নতুন করে লোক না গেলেও ফেরত আসার সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
২০০৫-০৬ সালে কুয়েতে যেখানে জনশক্তি রফতানি হয়েছিল প্রায় ৮৩ হাজার; সেখানে ২০০৮-০৯ ও চলতি বছরের ১১ মাসে মাসে রফতানি হয়েছে মাত্র ৩৬৮ জন। ২০০৭ সালে রফতানি হয়েছিল ৪ হাজার ২১২ জন। সরকারের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ বু্যরোর তথ্য অনুযায়ী, আগে বছরে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ আর ২০০৯ সালে গেছে মাত্র ১০ জন। একই অবস্থা মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রেও। অর্থনৈতিক মন্দার পর মালয়েশিয়া, নেপাল থেকে শ্রমিক নিলেও বাংলাদেশের জন্য বন্ধ দরজা আর খোলেনি। মালয়েশিয়ার চাহিদামতো শ্রমিক সরবরাহ করতে সে দেশের জনশক্তি রফতানিকারকরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। এদিকে বাংলাদেশকে নতুন লোক নেয়ার অনুমতি না দিলেও ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া বাংলাদেশিদের ধরে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী দীপু মণি ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী মালয়েশিয়া সফর করে বন্ধ বাজার খোলার আশ্বাস দিলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এদিকে লোক না গেলেও সেখান থেকে ফেরত আসার সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ২০০৫-০৬ সালে কুয়েতে যেখানে জনশক্তি রফতানি হয়েছিল প্রায় ৮৩ হাজার; সেখানে ২০০৮-০৯ ও চলতি বছরের ১১ মাসে মাসে রফতানি হয়েছে মাত্র ৩৬৮ জন। ২০০৭ সালে রফতানি হয়েছিল ৪ হাজার ২১২ জন। সরকারের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ বু্যরোর তথ্য অনুযায়ী, আগে বছরে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ আর ২০০৯ সালে গেছে মাত্র ১০ জন।
একই অবস্থা মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রেও। অর্থনৈতিক মন্দার পর মালয়েশিয়া, নেপাল থেকে শ্রমিক নিলেও বাংলাদেশের জন্য বন্ধ দরজা আর খোলেনি। মালয়েশিয়ার চাহিদামতো শ্রমিক সরবরাহ করতে সে দেশের জনশক্তি রফতানিকারকরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। এদিকে বাংলাদেশকে নতুন লোক নেয়ার অনুমতি না দিলেও ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া বাংলাদেশিদের ধরে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী দীপু মণি ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী মালয়েশিয়া সফর করে বন্ধ বাজার খোলার আশ্বাস দিলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এদিকে লোক না গেলেও সেখান থেকে ফেরত আসার সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ২০০৯ সালে দেশটিতে গেছে ১২ হাজার ৪০২ জন। ফিরেছে ১৬ হাজার ৮৭৭ জন। আর এ বছর ১১ মাসে মালয়েশিয়া গেছে মাত্র ৮০৬ জন। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়ায় মালয়েশিয়া বিদেশি শ্রমিক আমদানি প্রায় বন্ধ করে দেয়। সমপ্রতি তারা আবারো বিদেশি শ্রমিক নেয়া শুরু করেছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে তারা নেপাল থেকে ১ লাখ শ্রমিক নেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে। কিন্তু বাংলাদেশি ৫৫ হাজার শ্রমিক নেয়া বন্ধ এবং ভিসা নবায়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি।
Source: Daily Ittefaq, 25 Dec-2010
প্রতিবেশী, প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর যেখানে প্রতিনিয়ত জনশক্তি রফতানি ও প্রবাসী আয় বাড়ছে বাংলাদেশের সেখানে কমে প্রায় অর্ধেকে চলে এসেছে। জনশক্তি রফতানির অন্যতম বাজার মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশে এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়ায় গত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে লোক নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কিছু কিছু লোক যাচ্ছে শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এসব দেশ থেকে প্রতিদিনই খালি হাতে ফেরত আসছে হাজার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক।
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় লোক নেয়া বন্ধ করলেও বিশ্বের একমাত্র হিন্দুপ্রধান রাষ্ট্র্র নেপাল ও ভারত থেকে লোক নিচ্ছে। এছাড়াও কুয়েত, কাতার, ওমানও লোক নিচ্ছে পাকিস্তান, ভারত, ফিলিপাইন ও নেপাল থেকে। আগে মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে পছন্দের শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশি ৭০ লাখ কমর্ীর মধ্যে ৩৫ লাখই থাকেন সৌদি আরব, কুয়েত ও মালয়েশিয়ায়। কাজেই এ তিন দেশের বাজার চালু করা না গেলে আগামীতে জনশক্তি রফতানি খাতে আরো ভয়াবহ দুরবস্থা নেমে আসবে। সরকারি হিসাবে ১৯৭৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গেছে প্রায় ৭১ লাখ বাংলাদেশি। তারা এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা দেশে পাঠিয়েছে। বর্তমানে জনশক্তি রফতানি ও রেমিট্যান্স দুটোই কমেছে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে মোট জনশক্তি রফতানি হয়েছে ৮ লাখ ৩২ হাজার ৬০৯ জন। ২০০৮ সালে রফতানি হয় ৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫ জন। ২০০৯ সালে কমে হয় ৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৭৮ জন। ২০১০ সালে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে মোট জনশক্তি রফতানি হয় ৩ লাখ ৫৬ হাজার ১০২ জন। দেখা যায়, ২০০৮-০৯ সাল থেকে প্রধান রফতানি বাজার সৌদি আরব, কুয়েত, মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি প্রায় শূন্যের কোঠায় নামতে শুরু করেছে। সিঙ্গাপুর, ওমান, বাহরাইনসহ কয়েকটি দেশে কিছু কিছু জনশক্তি রফতানি হওয়ায় মোট রফতানির পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
অপরদিকে চলতি অর্থবছরে ৪ লাখ ৭৭ হাজার জনশক্তি রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ৫ মাসে গেছে মাত্র ১ লাখ ৫৩ হাজার। যা বছর শেষে লক্ষ্যমাত্রার ৬৩ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হবে। একইভাবে প্রবাসীদের পাঠানো আয় রেমিট্যান্সও কমতে থাকে।
এদিকে ২০০৯ সালের এপ্রিলে এবং এ বছরের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্র্র, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীসহ উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল নিয়ে সৌদি আরব, কুয়েত ও মালয়েশিয়া সফর শেষে বলেছিলেন বন্ধ শ্রমবাজার খুলে দেয়া হবে। এছাড়াও পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী দীপু মণি ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী খোন্দকার মোশাররফ হোসেন মালয়েশিয়ার সফর শেষে সে দেশের শ্রমবাজার সংকট কেটে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পরও সমস্যার কোনো সুরাহা হয়নি।
জনশক্তি রফতানির এ অবস্থার জন্য এ খাতের ব্যবসায়ীরা সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলে মনে করেন। জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সভাপতি আবুল বাশার বলেন, কূটনৈতিক দুর্বলতার জন্য আমরা একের পর এক বাজার হারাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, জনশক্তি রফতানি বাড়াতে প্রতিপক্ষ দেশ যেখানে প্রতি মাসে কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়, সেখানে বছরেও আমাদের কোনো তৎপরতা দেখা যায় না। তিনি বলেন, আমরা কোনো দিক-নির্দেশনা পাচ্ছি না। এখানে উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন থেকে জনশক্তি রফতানিকারকরা দাবি জানিয়ে আসছিল, জোর কূটনীতিক তৎপরতা শুরু না করলে সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, ওমানসহ মুসলিম দেশগুলোতে জনশক্তি রফতানি চূড়ান্তভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। এখন সে আশঙ্কাই সত্য হয়ে দাঁড়াল।
এদিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার বলেন, অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় এবং জনশক্তি রফতানিকারকদের কারণে বিভিন্ন দেশে শ্রমবাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ। সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার হারানোর এটাই প্রধান কারণ জানিয়ে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এ অবস্থা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের শ্রমবাজার ভবিষ্যতে আরো সংকুচিত হয়ে পড়বে। মন্ত্রী স্বীকার করে বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার একেবারেই সংকুচিত হয়েছে।
বায়রার মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ব্যবসা এখন প্রায় বন্ধ। অনেক জনশক্তি রফতানিকারক দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ করতে না পেরে ব্যবসা গুটিয়ে আবার অনেকে সংকুচিত করে কোনোরকমে টিকে আছে। তিনি বলেন, এ অবস্থায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে রয়েছে বায়রা নেতারা। বায়রার সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র্র মন্ত্রীসহ সরকারের শীর্ষপর্যায়ের কূটনীতিক তৎপরতাই পারে ভয়াবহ এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে। তার মতে, সৌদি আরব, কুয়েতসহ যেখানে প্রধানমন্ত্রী সফর করেছেন, সেখানে ফলোআপ দরকার ছিল।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবেও প্রায় ২ বছর ধরে জনশক্তি রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি হিসাবে সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রমিক রয়েছে প্রায় ২৬ লাখ। আর বেসরকারি হিসাবে মোট বাংলাদেশির সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি জনশক্তি রফতানির দেশ সৌদি আরবে গত ২ বছরে মাত্র ২০ হাজার লোক গেছে। এর আগে ২০০৮ সাল বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব গেছে ১ লাখ ৩২ হাজার লোক। ২০০৭ সালে গেছে ২ লাখ ৪ হাজার ১১২ জন। একই অবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও।
এছাড়া সৌদি আরবে আকামা পরিবর্তনের (চাকরি পরিবর্তন) সুযোগ না পাওয়ায় সেখানে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছেন। এর মধ্যে লক্ষাধিক শ্রমিক আকামা সমস্যায় পালিয়ে অবৈধভাবে কাজ করছেন। আবার যারা পুলিশের হাতে ধরা পড়ছেন তাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল থেকে শ্রমিক নেয়া ও আকামা পরিবর্তনের সুযোগ দেয়া হলেও বাংলাদেশ একেবারেই বঞ্চিত।
কাতারে ২০০৭-০৮ সালে প্রায় ৪১ হাজার রফতানি হলেও ২০০৯-১০ সালে রফতানি হয়েছে ২২ হাজার ৫০০ জন। ওমান থেকে লক্ষাধিক বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর আয়োজন চূড়ান- হয়ে গেলেও তাদের জন্য সরকারের কোনো তৎপরতা নেই। জানা যায়, ওমানে প্রায় ৩ লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকলেও এর মধ্যে অবৈধ লক্ষাধিক বাংলাদেশি শ্রমিকের ভাগ্য এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জনশক্তি রফতানি ব্যবসায়ীরা বলেন, কূটনৈতিক তৎপরতার অভাব ও সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশি শ্রমিক এবং ব্যবসায়ীদের অনৈতিক, অবৈধ কার্যক্রমের প্রচারণার জন্য বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাসহ প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য দেশের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে সৌদি সরকারের কাছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ইমেজ খারাপ হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার কুয়েতে প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশি আছে। মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশটিতে গত ৩ বছর ধরে বাংলাদেশি জনশক্তি রফতানি বন্ধ আছে। বাজারটি চালু করতে কূটনৈতিক উদ্যোগ তেমন নেয়া হয়নি। এ বছরের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সফরের পরও কুয়েতের শ্রমবাজার খুলে দেয়ার ব্যাপারে আশাপ্রদ কোনো খবর পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুয়েতের আমিরের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার অনুরোধ জানালেও কুয়েতের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো আশার বাণী শোনানো হয়নি। এমনকি বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে যে ৪টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল সেখানেও বন্ধ শ্রমবাজার খুলে দেয়ার ব্যাপারে কোনো কিছু ছিল না বলে জানা যায়। নতুন করে লোক না গেলেও ফেরত আসার সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
২০০৫-০৬ সালে কুয়েতে যেখানে জনশক্তি রফতানি হয়েছিল প্রায় ৮৩ হাজার; সেখানে ২০০৮-০৯ ও চলতি বছরের ১১ মাসে মাসে রফতানি হয়েছে মাত্র ৩৬৮ জন। ২০০৭ সালে রফতানি হয়েছিল ৪ হাজার ২১২ জন। সরকারের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ বু্যরোর তথ্য অনুযায়ী, আগে বছরে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ আর ২০০৯ সালে গেছে মাত্র ১০ জন। একই অবস্থা মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রেও। অর্থনৈতিক মন্দার পর মালয়েশিয়া, নেপাল থেকে শ্রমিক নিলেও বাংলাদেশের জন্য বন্ধ দরজা আর খোলেনি। মালয়েশিয়ার চাহিদামতো শ্রমিক সরবরাহ করতে সে দেশের জনশক্তি রফতানিকারকরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। এদিকে বাংলাদেশকে নতুন লোক নেয়ার অনুমতি না দিলেও ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া বাংলাদেশিদের ধরে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী দীপু মণি ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী মালয়েশিয়া সফর করে বন্ধ বাজার খোলার আশ্বাস দিলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এদিকে লোক না গেলেও সেখান থেকে ফেরত আসার সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ২০০৫-০৬ সালে কুয়েতে যেখানে জনশক্তি রফতানি হয়েছিল প্রায় ৮৩ হাজার; সেখানে ২০০৮-০৯ ও চলতি বছরের ১১ মাসে মাসে রফতানি হয়েছে মাত্র ৩৬৮ জন। ২০০৭ সালে রফতানি হয়েছিল ৪ হাজার ২১২ জন। সরকারের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ বু্যরোর তথ্য অনুযায়ী, আগে বছরে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ আর ২০০৯ সালে গেছে মাত্র ১০ জন।
একই অবস্থা মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রেও। অর্থনৈতিক মন্দার পর মালয়েশিয়া, নেপাল থেকে শ্রমিক নিলেও বাংলাদেশের জন্য বন্ধ দরজা আর খোলেনি। মালয়েশিয়ার চাহিদামতো শ্রমিক সরবরাহ করতে সে দেশের জনশক্তি রফতানিকারকরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। এদিকে বাংলাদেশকে নতুন লোক নেয়ার অনুমতি না দিলেও ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া বাংলাদেশিদের ধরে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী দীপু মণি ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী মালয়েশিয়া সফর করে বন্ধ বাজার খোলার আশ্বাস দিলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এদিকে লোক না গেলেও সেখান থেকে ফেরত আসার সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ২০০৯ সালে দেশটিতে গেছে ১২ হাজার ৪০২ জন। ফিরেছে ১৬ হাজার ৮৭৭ জন। আর এ বছর ১১ মাসে মালয়েশিয়া গেছে মাত্র ৮০৬ জন। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়ায় মালয়েশিয়া বিদেশি শ্রমিক আমদানি প্রায় বন্ধ করে দেয়। সমপ্রতি তারা আবারো বিদেশি শ্রমিক নেয়া শুরু করেছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে তারা নেপাল থেকে ১ লাখ শ্রমিক নেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে। কিন্তু বাংলাদেশি ৫৫ হাজার শ্রমিক নেয়া বন্ধ এবং ভিসা নবায়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি।
Source: Daily Ittefaq, 25 Dec-2010
No comments:
Post a Comment