গোলমরিচ চাষে সাফল্য
যে ক'টি কারণে পতর্ুগিজ, ফরাসি ও ইংরেজরা ভারতবর্ষে আসা শুরু করে তার মধ্যে একটি মসলা সংগ্রহ। শিল্প বিপস্নবের পর এখানে জীবনমানের প্রভূত উন্নত হওয়ার পাশাপাশি রসনার ক্ষেত্রে রুচির পরিবর্তনের কারণে মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। সে সময় ভারতবর্ষে প্রচুর পরিমাণে মসলা উৎপাদন হলে বাংলাদেশে হত না। এখানকার মানুষ পাকিস্তান ও ভারত থেকে মসলা আমদানি করত। এখনো তাই করে। তবে আমাদের দেশে বিভিন্ন জেলাতে বর্তমানে কিছু কিছু মসলা উৎপাদন শুরু হয়েছে।
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা ভাদেশ্বর ইউনিয়ন খাসিয়া পুঞ্জী, যেখানে দু'শতধিক চাষি বাণিজ্যিকভাবে গোলমরিচের চাষ শুরু করেছেন। এক সময় তারা পান, আনারস ও লেবু চাষের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। এখন তারা গোলমরিচের ওপর নির্ভর করছেন। কেননা গোলমরিচ উৎপাদনে অর্থনৈতিকভাবে অনেক লাভজনক হওয়া যায়।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অদূরে প্রায় ৬০ টি এলাকা জুড়ে আলীয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জীতে হাজার হাজার গোলমরিচের গাছ প্রকৃতিকে সাজিয়েছে ভিন্নরূপে। গোলমরিচের গাছ অনেকটা পান গাছের মত দেখতে, অন্য গাছকে অবলম্বন করে বেড়ে উঠে। স্থানীয় চাষি অরুণ খাসিয়া বলেন, অতি বৃষ্টিপাতের সময় গোলমরিচের চারা রোপণ করতে হয়। এ জন্য বছরের আষাঢ়-শ্রাবণ মাস গাছ রোপণ করার উপযুক্ত সময়। গাছে ফল ধরতে সময় লাগে প্রায় ৪ বছর। তখন প্রতিটি গাছ থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত গোলমরিচ পাওয়া যায়, ফল পাকার পর ছিড়ে নিয়ে রোদে শুকাতে হয়। এরপর বাজারজাত করতে হয়। এখানকার ফলের মানও ভাল।
গোলমরিচ চাষের পাশাপাশি একই সাথে সুপারিরও চাষ করা যায়। এতে যত্ন বা পরিচর্যার তেমন একটা প্রয়োজন পড়ে না। বাজারে এর অনেক চাহিদা থাকায় বেশ ভাল দামে বিক্রি করছেন তারা। এতে বছরে মোটা অংকের টাকা উপার্জন হচ্ছে।
হবিগঞ্জ জেলার কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতরে উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন জানান, বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে গোলমরিচ আমদানি হয়। দেশে যে পরিমাণ পাহাড়ি জমি রয়েছে তাতে গোলমরিচসহ অন্য মসলা উৎপাদন করা সম্ভব। বিশেষ করে হবিগঞ্জের মাটি ও পরিবেশ মসলা চাষের উপযোগী। চাষিরা ব্যাপকভাবে গোলমরিচসহ অন্যান্য মসলা উৎপাদন করতে চাইলে সরকারের কৃষি সমপ্রসারণ বিভাগ যেকোনো সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
শাহ ফখরুজ্জামান, হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা ভাদেশ্বর ইউনিয়ন খাসিয়া পুঞ্জী, যেখানে দু'শতধিক চাষি বাণিজ্যিকভাবে গোলমরিচের চাষ শুরু করেছেন। এক সময় তারা পান, আনারস ও লেবু চাষের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। এখন তারা গোলমরিচের ওপর নির্ভর করছেন। কেননা গোলমরিচ উৎপাদনে অর্থনৈতিকভাবে অনেক লাভজনক হওয়া যায়।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অদূরে প্রায় ৬০ টি এলাকা জুড়ে আলীয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জীতে হাজার হাজার গোলমরিচের গাছ প্রকৃতিকে সাজিয়েছে ভিন্নরূপে। গোলমরিচের গাছ অনেকটা পান গাছের মত দেখতে, অন্য গাছকে অবলম্বন করে বেড়ে উঠে। স্থানীয় চাষি অরুণ খাসিয়া বলেন, অতি বৃষ্টিপাতের সময় গোলমরিচের চারা রোপণ করতে হয়। এ জন্য বছরের আষাঢ়-শ্রাবণ মাস গাছ রোপণ করার উপযুক্ত সময়। গাছে ফল ধরতে সময় লাগে প্রায় ৪ বছর। তখন প্রতিটি গাছ থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত গোলমরিচ পাওয়া যায়, ফল পাকার পর ছিড়ে নিয়ে রোদে শুকাতে হয়। এরপর বাজারজাত করতে হয়। এখানকার ফলের মানও ভাল।
গোলমরিচ চাষের পাশাপাশি একই সাথে সুপারিরও চাষ করা যায়। এতে যত্ন বা পরিচর্যার তেমন একটা প্রয়োজন পড়ে না। বাজারে এর অনেক চাহিদা থাকায় বেশ ভাল দামে বিক্রি করছেন তারা। এতে বছরে মোটা অংকের টাকা উপার্জন হচ্ছে।
হবিগঞ্জ জেলার কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতরে উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন জানান, বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে গোলমরিচ আমদানি হয়। দেশে যে পরিমাণ পাহাড়ি জমি রয়েছে তাতে গোলমরিচসহ অন্য মসলা উৎপাদন করা সম্ভব। বিশেষ করে হবিগঞ্জের মাটি ও পরিবেশ মসলা চাষের উপযোগী। চাষিরা ব্যাপকভাবে গোলমরিচসহ অন্যান্য মসলা উৎপাদন করতে চাইলে সরকারের কৃষি সমপ্রসারণ বিভাগ যেকোনো সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
শাহ ফখরুজ্জামান, হবিগঞ্জ
No comments:
Post a Comment