ফ্ল্যাট কিনেও ভাড়া থাকছেন অনেক ক্রেতা:
আবাসন খাতে ৩ বছর ধরে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ -
হুমকির মুখে ৯০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ
কামাল উদ্দিন সুমন : আবাসন শিল্পে চরম দুঃসময় চলছে।
একদিকে গত ৩ বছর ধরে নেই নতুন গ্যাস সংযোগ। অন্যদিকে ফ্ল্যাট ও প্লটের
ক্রেতা কম হওয়ায় বিক্রি কমেছে। গ্যাস সংযোগ না পাওয়ায় অনেক কোম্পানি তাদের
বিক্রিত ফ্ল্যাট ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করতে পারছে না। আর ফ্ল্যাট কিনেও
ভাড়ায় থাকছেন অনেকে। আর গ্যাসের অভাবে এ খাতে ৯০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ
এখন হুমকির মুখে বলে জানিয়েছেন এ খাতের একাধিক বিনিয়োগকারী।
সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ২১ জুলাই থেকে সব ধরনের নতুন সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। একইভাবে ২০১০ সালের ১৩ জুলাই থেকে দেশব্যাপী আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের সংযোগ দেয়া বন্ধ রাখা হয়। তবে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য এই বলে নিশ্চয়তা দেয়া হয় যে দেশে যখন দৈনিক দুই হাজার দুইশ' এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হবে তখন থেকেই সব আবাসিক গ্রাহকদের সংযোগ আবার দেয়া হবে। সরকার সম্প্রতি শিল্প কারখানায় নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও কবে তা বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেক ব্যবসায়ী।
সূত্র মতে, গত তিন বছর ধরে আবাসন শিল্পে গ্যাসের নতুন সংযোগ বন্ধ রয়েছে। শিল্প ও আবাসন খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা। সুদসহ ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে অনেকেই দেউলিয়া হওয়ার পথে। শুধু গ্যাস সংযোগের অভাবে ফ্ল্যাট বিক্রি করতে পারছেন না অনেক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা। নতুন গ্যাস সংযোগের অভাবে ৯০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এখন হুমকির মুখে। এর মধ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। এ সময় ফ্ল্যাট বিক্রি কমেছে ৪২ শতাংশ।
আবাসন ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র জানায়, শুধুমাত্র এ সরকারের আমলেই তিন বছর ধরে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রেখে নতুন নজির স্থাপন করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সরকারের সময় কয়েক মাসের জন্য বন্ধ থাকার ঘটনা ঘটলেও এত দীর্ঘ সময়ের জন্য গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখার ঘটনা এটাই প্রথম। বর্তমান সরকারের দাবি, গত ৩ বছরে গ্যাসের উৎপাদন বেড়েছে সাড়ে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। আবাসন খাতে নতুন সংযোগ দিলেও প্রয়োজন হবে মাত্র ১০ মিলিয়ন ঘনফুট।
গৃহায়ন খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) সূত্র জানায়, ফ্ল্যাটের কেনা-বেচা সম্প্রতি ৪২ শতাংশ কমেছে। উন্নয়ন কাজ শেষ হলেও গ্যাস সংযোগ না থাকায় কয়েক লাখ ফ্ল্যাট ও এ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে উদ্যোক্তাদের অন্তত ৯০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় যেকোনো সময় আবাসন খাতে বড় রকমের ধস নামতে পারে। গৃহায়ন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আড়াই শতাধিক শিল্পের প্রায় ১০ হাজার প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং আড়াই কোটি লোকের বেকার হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি রেডি ফ্ল্যাট এখন অবিক্রীত অবস্থায় রয়েছে।
জানা যায়, গ্যাস সংযোগ না থাকায় মন্দার কবলে পড়েছে দেশের আবাসন শিল্প। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আবাসন খাতে এমনিতেই চলছে ক্রেতা সংকট। ফ্ল্যাট ও প্লটের ক্রেতা নেই। তাই বিক্রিও নেই। এ অবস্থায় অনেক প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাঁটাই। বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বহু আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় গ্যাস সংযোগ সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে গোটা আবাসন খাতে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
রিহ্যাবের একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকার আবাসন সংকট মোকাবিলায় সত্যিই আন্তরিক নয়। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে এ খাতে চলছে লুকোচুরি। নির্মাণ কাজ শেষ করেও গ্যাস সংযোগ না পাওয়ায় এ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করতে পারছেন না উদ্যোক্তারা।
রিহ্যাব সূত্রে জানা গেছে, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ মেটাতে গত ২০ বছরে ঢাকায় প্রায় এক লাখ নতুন এ্যাপার্টমেন্ট তৈরি হয়েছে। জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান অন্তত ১৩ শতাংশ। এ খাতে দুর্যোগ নেমে এলে অন্তত পাঁচ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে সূত্র দাবি করে।
সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ২১ জুলাই থেকে সব ধরনের নতুন সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। একইভাবে ২০১০ সালের ১৩ জুলাই থেকে দেশব্যাপী আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের সংযোগ দেয়া বন্ধ রাখা হয়। তবে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য এই বলে নিশ্চয়তা দেয়া হয় যে দেশে যখন দৈনিক দুই হাজার দুইশ' এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হবে তখন থেকেই সব আবাসিক গ্রাহকদের সংযোগ আবার দেয়া হবে। সরকার সম্প্রতি শিল্প কারখানায় নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও কবে তা বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেক ব্যবসায়ী।
সূত্র মতে, গত তিন বছর ধরে আবাসন শিল্পে গ্যাসের নতুন সংযোগ বন্ধ রয়েছে। শিল্প ও আবাসন খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা। সুদসহ ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে অনেকেই দেউলিয়া হওয়ার পথে। শুধু গ্যাস সংযোগের অভাবে ফ্ল্যাট বিক্রি করতে পারছেন না অনেক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা। নতুন গ্যাস সংযোগের অভাবে ৯০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এখন হুমকির মুখে। এর মধ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। এ সময় ফ্ল্যাট বিক্রি কমেছে ৪২ শতাংশ।
আবাসন ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র জানায়, শুধুমাত্র এ সরকারের আমলেই তিন বছর ধরে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রেখে নতুন নজির স্থাপন করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সরকারের সময় কয়েক মাসের জন্য বন্ধ থাকার ঘটনা ঘটলেও এত দীর্ঘ সময়ের জন্য গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখার ঘটনা এটাই প্রথম। বর্তমান সরকারের দাবি, গত ৩ বছরে গ্যাসের উৎপাদন বেড়েছে সাড়ে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। আবাসন খাতে নতুন সংযোগ দিলেও প্রয়োজন হবে মাত্র ১০ মিলিয়ন ঘনফুট।
গৃহায়ন খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) সূত্র জানায়, ফ্ল্যাটের কেনা-বেচা সম্প্রতি ৪২ শতাংশ কমেছে। উন্নয়ন কাজ শেষ হলেও গ্যাস সংযোগ না থাকায় কয়েক লাখ ফ্ল্যাট ও এ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে উদ্যোক্তাদের অন্তত ৯০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় যেকোনো সময় আবাসন খাতে বড় রকমের ধস নামতে পারে। গৃহায়ন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আড়াই শতাধিক শিল্পের প্রায় ১০ হাজার প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং আড়াই কোটি লোকের বেকার হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি রেডি ফ্ল্যাট এখন অবিক্রীত অবস্থায় রয়েছে।
জানা যায়, গ্যাস সংযোগ না থাকায় মন্দার কবলে পড়েছে দেশের আবাসন শিল্প। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আবাসন খাতে এমনিতেই চলছে ক্রেতা সংকট। ফ্ল্যাট ও প্লটের ক্রেতা নেই। তাই বিক্রিও নেই। এ অবস্থায় অনেক প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাঁটাই। বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বহু আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় গ্যাস সংযোগ সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে গোটা আবাসন খাতে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
রিহ্যাবের একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকার আবাসন সংকট মোকাবিলায় সত্যিই আন্তরিক নয়। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে এ খাতে চলছে লুকোচুরি। নির্মাণ কাজ শেষ করেও গ্যাস সংযোগ না পাওয়ায় এ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করতে পারছেন না উদ্যোক্তারা।
রিহ্যাব সূত্রে জানা গেছে, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ মেটাতে গত ২০ বছরে ঢাকায় প্রায় এক লাখ নতুন এ্যাপার্টমেন্ট তৈরি হয়েছে। জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান অন্তত ১৩ শতাংশ। এ খাতে দুর্যোগ নেমে এলে অন্তত পাঁচ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে সূত্র দাবি করে।
Source: http://www.dailysangram.com
শুক্রবার 28 September 2012
No comments:
Post a Comment