Tuesday, October 23, 2012

পাহাড় প্রান্তের অবাক শহর

পাহাড় প্রান্তের অবাক শহর



বোনিফ্যাসিও

  ফ্রান্সের কর্স-ডু-সাড বিভাগের অন্তর্গত কর্সিকা দ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে বোনিফ্যাসিও শহর তথা সম্প্রদায়ের অবস্থান। কর্সিকা দ্বীপের সবচেয়ে বড় সম্প্রদায় হলো বোনিফ্যাসিও। এখানকার বাসিন্দাদের বলা হয় বোনওফ্যাসিয়ান্স। মহিলাদের বলা হয় বোনিফ্যাসিনিজ। পাহাড়ের প্রান্তে থাকা হলদেটে সাদা রংয়ের চুন সুরকির দালান ঘেরা শহরটি এক সময় দুর্ভেদ্য দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল।


 রন্ডা
  স্পেনের মালাগা প্রদেশের ১০০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে রন্ডা শহরের অবস্থান। শহরটি অ্যান্ডালুসিয়া সমপ্রদায় কর্তৃক পরিচালিত। রন্ডা শহর দু'ভাগে বিভক্ত। নুভো সেতু দু'টি অংশকে যুক্ত করেছে। ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে পর্যটকদের কাছে শহরটি বেশ আকর্ষণীয়।






ডি লা রোকা

  স্পেনের গিরোনা প্রদেশের গ্যারোটজা জেলার অন্তর্গত শহর হলো ক্যাসেলফলিট ডি লা রোকা পৌর শহর। ফ্লুভিয়া ও টরোনেল নদীর মাঝামাঝি কৃষ্ণধূসর আগ্নেয়শিলার এক দুরারোহ পর্বতগাত্রের বুকে শহরটি অবস্থিত। এখানে ক্যাটলোনিয়া সম্প্রদায়ের অবস্থান। পৌরশহরটির জায়গার পরিমাণ এক বর্গকিলোমিটারের কম।



রোকা মাড্যুর

* ফ্রান্সের দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত লট বিভাগ ও প্রান্তন কোয়ের্কি প্রদেশের অন্তর্গত অন্যতম নিম্ননির্বাহী বিভাগ হলো রোকামাড্যুর। ডোরডোঙ্গে নদীর উপর অবস্থিত শহরটি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ এবং খ্রিস্ট ধর্মের কুমারী মেরি'র ধর্মস্থান হিসেবে বিখ্যাত। তাই রোকামাড্যুর শতাব্দীর পর শতাব্দী রাজা, বিশপ ও বিখ্যাত ব্যক্তিসহ বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে।



মিটিয়োরা


  মিটিয়োরা একটি গ্রিক শব্দ। এর অর্থ হলো ঝুলন্ত পাহাড়। গ্রিসে অবস্থিত পাহাড়ের ওপর নির্মিত গির্জাটি গ্রিসের ক্যাথলিক খ্রিস্টান যাজকদের অন্যতম বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ মঠ। মধ্য গ্রিসের থেসালি ভৌগলিক অঞ্চলের উত্তরপশ্চিমপ্রান্তে পিনিয়স নদী ও পিন্ডাস পাহাড়ের মাঝামাঝি ক্যাথলিক খ্রিস্টান যাজকদের প্রাকৃতিক বেলে পাথর দিয়ে নির্মিত পিলারের ছয়টি মঠ রয়েছে। এরমধ্যে পাঁচটি পুরুষ যাজকদের ও একটি মহিলা যাজকদের মঠ। 

Tuesday, October 9, 2012

মুসলমানরাই বাংলাদেশের আদিবাসী -মাহমুদ ইউসুফ

মুসলমানরাই বাংলাদেশের আদিবাসী 
-মাহমুদ ইউসুফ

প্রখ্যাত ভাষাতাত্ত্বিক, শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর (অবসরপ্রাপ্ত) ডঃ কাজী দীন মুহাম্মদ বলেছেন, ‘আজ সাড়ে সাত হাজার বছর আগে হযরত নুহু (আঃ) এর সময়ে সংঘটিত মহাপ্লাবনের পর আল্লাহর অস্তিত্ব ও একত্ববাদে বিশ্বাসী তাঁর প্রপৌত্র বঙ এ অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেন। এরপর যে জনগোষ্ঠি গড়ে ওঠে তা-ই বঙ্গ জনগোষ্ঠি নামে অভিহিত হয়। কালের বিবর্তনে উক্ত বঙ থেকেই বঙ্গ দেশের নামকরণ হয়েছে' (বাংলাদেশের উৎপত্তি ও বিকাশ ১ম খন্ড, ইফাবা, ২য় সংস্করণ, জুন-২০০৮, পৃ-১৬৭)। মানবজাতির আদি পিতা হযরত আদম (আঃ)। তিনিই এ পৃথিবীতে মানব সভ্যতার জয়যাত্রা শুরু করেন। ইসলাম, ইহুদী ও খৃস্টান ধর্মমতে এটাই চরম সত্য। কুরআন, বাইবেল, তাওরাতে এ সত্যেরই প্রতিধ্বনি উচ্চারিত হয়েছে।
পৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদম (আঃ)কে আল্লাহ রাববুল আলামীন এ ভারতবর্ষেই প্রেরণ করেন। তদানীন্তন সরন্দীপ (আজকের শ্রীলঙ্কা) আর হিন্দুস্তান একই ভূখন্ডের অন্তর্ভুক্ত ছিল। হযরত আদম (আঃ) এর পুত্র দ্বিতীয় নবী হযরত শীষ (আঃ)ও এই ভারতবর্ষেরই নাগরিক ছিলেন। এখানেই তিনি বসতি স্থাপন করেন। আর এখানেই মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে হযরত নুহু (আঃ) এর উত্তরপুরুষেরা ভারতবর্ষ আবাদ করেন। তাই দেখা যায়, মুসলিমদের কাছে শুধু আরবভূমিই নয় এই ভারতীয় উপমহাদেশও অতি আপনভূমি। কেননা মানব সভ্যতার শুরু থেকেই মুসলমানরা এই ভূখন্ডে বসবাস করে আসছে। নেগ্রিটো, অস্ট্রল্যান্ড, অস্ট্রো এশিয়াটিক, মঙ্গোলয়েড, অস্ট্রিক, দ্রাবিড়, বৌদ্ধ, আর্য জাতির বিকাশ আরও পরের ঘটনা।পার্বত্য উপজাতির আগমন তো সেদিনের ঘটনা। সর্বোচ্চ তিনশ বছর।
খৃস্টপূর্ব সাড়ে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে একমহাপ্লাবন সংঘটিত হয়! অনেকের মতে খৃস্টপূর্ব ৩২০০ অব্দে এটি সৃষ্টি হয়েছিল। এ মহাপ্লাবন মিসর থেকে হিন্দুস্তান, ককেশাস থেকে আরব সাগর পর্যন্ত ছড়িয়েছিল। এটি ছিল মূলতঃ আল্লাহর গজব। হযরত নুহু (আঃ) দীর্ঘ সাড়ে নয়শ বছর ইসলাম প্রচার করেন। কিন্তু গুটিকয়েকজন নাগরিক ছাড়া আর কোনো নাগরিক আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপন করেন নাই। এই অমুসলিম তথা মুশরিক কাফিরদের শাস্তি দেয়ার লক্ষ্যেই মহান রব গজব নাজিল করেন। এ মহাপ্লাবনে মাত্র ৮৫ জন মানুষ, যারা নূহ (আঃ) এর কিস্তিতে আরোহণ করেছিলেন তারাই জীবিত থাকে। বাকি সমগ্র মানবজাতি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। পানিবন্যা পরবর্তী সময়ে হযরত নুহ (আঃ) এর সন্তানেরা বিভিন্ন দেশে বসতি স্থাপন করেন। তাঁর দৌহিত্র হিন্দ ভারতবর্ষ আবাদ করেন। বঙের বংশধরদের আবাসস্থলই আজকের বাংলাদেশ। বং থেকে কালক্রমে বঙ্গ, বাঙালাহ, বেঙ্গল, বাংলা ইত্যাদি নামের উদ্ভব ঘটে।
বঙ্গ নামের উৎপত্তির সঙ্গে অনেক লেখক, গবেষক ও ঐতিহাসিক ভিন্নমত পোষণ করেন। তাদের মতে, বঙ্গ শব্দের উৎপত্তি ভারতীয় আর্যদের আমলে, যারা খৃস্টপূর্ব দেড় হাজার বছর পূর্বে মধ্য এশিয়া থেকে এসে সিন্ধু নদীর তীরে দ্রাবিড়দের উৎখাত করে বসতি স্থাপন করে। প্রমাণস্বরূপ তারা উল্লেখ করেছেন, ঋগবেদের ঐতরেয় আরণ্যক এ বঙ্গ শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। মহাভারত, পুরাণ, হরিবংশ প্রভৃতি গ্রন্থে বর্ণিত আছে, ‘আর্য রমণীগণ কর্তৃক পরিত্যক্ত, দুশ্চরিত্র অন্ধ ঋষি দীর্ঘতমা গঙ্গার জলে ভেসে আসাকালীন নিঃসন্তান ‘‘অনার্য' বলিরাজ তাঁকে তুলে নিয়ে যান এবং স্বীয় পত্নী সুদেষ্ণার গর্ভে পুত্র উৎপাদনের জন্য তাঁকে নিয়োগ করেন। সুদেষ্ণার গর্ভে উক্ত ঋষির ঔরসে পাঁচটি পুত্র সন্তান জন্মলাভ করে। এই ক্ষেত্রজ পুত্র সন্তানদের নাম রাখা হয় ১) অঙ্গ, ২) বঙ্গ, ৩) কলিঙ্গ ৪) পুন্ড্রু এবং ৫) সূক্ষ্ম। তাদেরকে পাঁচটি রাজ্য দেয়া হয় এবং তাদের নামানুসারে পাঁচটি রাজ্যের নামকরণ করা হয়'। যারা এই তথ্যকে সঠিক বলে প্রমাণ করতে চায়, তাদের নিম্নের বিষয়গুলো বিবেচনার জন্য পেশ করা হলো। এক- কোনো যুক্তিবাদী ও বাস্তবজ্ঞান সম্পন্ন মানুষ কী উপরোক্ত তথ্য বিশ্বাস করতে পারেন?
দুই- বলিরাজ বা ধর্মপাল অষ্টম শতকে বাংলাদেশের ইতিহাসের একজন মহান, ন্যায়পরায়ণ, জনদরদী, সজ্জন এবং পন্ডিতপ্রবর শাসক ছিলেন? তাঁর স্ত্রী সুদেষ্ণাও একজন মহিয়সী নারী ছিলেন। এই মহৎ শাসক তাঁর স্ত্রীর গর্ভে দুশ্চরিত্র দীর্ঘতমার জারজ সন্তান ধারণ করার অনুমতি দেবেন অথবা একজন সতী নারী একজন লম্পটের ভ্রূণ গ্রহণ করবেন এটা কী বিশ্বাসযোগ্য? তিন-ভারতে আর্য আধিপত্য প্রতিষ্ঠার আগে এ অঞ্চলের নাম কী ছিলো সে বিষয়ে তারা কিছু ধারণা দেননি কেন? চার-ঋগবেদ, পুরাণ, মহাভারতে এ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে কেন অত্যন্ত হেয় ও ঘৃণ্যবলে প্রতিপন্ন করা হয়েছে? পাঁচ- কোনো মানুষকে কী দস্যু, অসুর, দেও দানব, রাক্ষস, পক্ষী, অনার্য আখ্যা দেয়া যায় কিনা বা উচিত কিনা? ছয়-বাংলা ভাষাকে আর্যরা আসুরিক ও ম্লেচ্ছদের ভাষা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে কেন? সাত- সেনবর্মনরা কেন বাংলা ভাষা নিধনে মেতে ওঠেছিল? আট-রিয়াজ-উস-সালাতিন গ্রন্থে বর্ণিত বাংলা নামকরণ সম্পর্কে প্রদত্ত বক্তব্য হিন্দু ঐতিহাসিকরা খন্ডন করেননি বা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেননি। থলের বিড়াল বেরিয়ে যাবার ভয়ে কী? নতুন কোনো তথ্য বা যুক্তি উপস্থাপন করতে হলে অবশ্যই অতীতের বক্তব্য খন্ডন করতে হবে। এটাই ইতিহাসের স্বাভাবিক নিয়ম। নয়-বলিরাজ বা ধর্মপাল নিজেই বঙ্গের শাসক ছিলেন। তাই জারজ সন্তান সৃষ্টি করে তার নামে বঙ্গের নামকরণের যৌক্তিকতা থাকতে পারে না। বলিরাজের অনেক পূর্ব থেকেই এ অঞ্চলের নাম বঙ্গ হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, পুন্ড্রু, সূক্ষ্ম নামে তাঁর কোনো সন্তান ছিলো না। ধর্মপালের পূর্বে এদেশ শাসন করে তার পিতা গোপাল, ধর্মপালের মৃত্যুর পর পুত্র দেবপাল, তারপর বিগ্রহপাল মসনদে বসেন। দশ-প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি পরাক্রমশালী একটি জাতি। যেসব ঐতিহাসিক স্বজাতিকে জারজ হিসেবে আখ্যায়িত করতে চায় তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। এসব প্রশ্নের জবাব খোঁজা অতীব জরুরী।
ডঃ এম এ আজিজ ও ডঃ আহমদ আনিসুর রহমান বলেছেন, ‘আর্যদের আগমনের বহুপূর্বেই প্রাগৈতিহাসিক যুগে উপমহাদেশের এ অঞ্চলে ‘বঙ্গ' নামে জনপদ বিদ্যমান ছিল। আর্যদের পৌরাণিক কাহিনী থেকে যে ‘বঙ্গ' শব্দের উৎপত্তি নয় তা-ও সুস্পষ্ট। কাজেই ‘বঙ্গ' শব্দের উৎপত্তি ভারতীয় আর্য হিন্দু আমলে হয়েছে বলে গ্রহণযোগ্য নয় (বাংলাদেশের উৎপত্তি ও বিকাশ ১ম খন্ড, ইফাবা, ২য় সংস্করণ, জুন-২০০৮, পৃ-৪)। রমেশ চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘আর্য জাতির সংস্পর্শে আসিবার পূর্বেই বর্তমান বাঙালী জাতির সংস্পর্শে বাঙালি জাতির উদ্ভব হইয়াছিল এবং তাহারা একটি উচ্চাঙ্গ ও বিশিষ্ট সভ্যতার অধিকারী ছিল' (বাংলাদেশের ইতিহাস)। তিনি অন্যত্র বলেছেন, ‘(বাংলাদেশের) প্রাচীন লিপিতে দীনার ও রূপক এই দুই প্রকার নাম পাওয়া যায়। সম্ভবত স্বর্ণমুদ্রার নাম ছিল দীনার ও রৌপ্য মুদ্রার নাম ছিল রূপক। ১১৬ রূপক এক দীনারের সমান ছিল'। দীনার শব্দটি সেমিটিক পরিভাষার সাথে সম্পর্কিত। প্রখ্যাত গবেষক ও লেখক সিরাজ উদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ‘বাঙাল জনগোষ্ঠীর নামকরণ বাঙ, কৌম বা গোত্র থেকে হয়েছে। ভাগিরথীর পূর্বদিকে গাঙ্গেয় বদ্বীপ এলাকায় সুপ্রাচীনকাল থেকে বাঙ জনগোষ্ঠী বাস করত। ....প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে বাঙ জাতি এ অঞ্চলে বাস করত এবং তাদের নামানুসারে বঙ্গ জনপদের নামকরণ' (পৃ-৫১, বরিশালের ইতিহাস প্রথম খন্ড, ভাস্কর প্রকাশনী, জুলাই-২০০৩)। অন্যত্র তিনি বলেছেন, ‘বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ বাঙালী জাতির প্রধান আদি বাসস্থান। সুদূর প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে বাঙ জাতি এ অঞ্চলে বাস করত। বাঙালী শঙ্কর জাতি। নরতত্ত্ব, জাতিতত্ত্ব ও ভাষাতত্ত্বের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করলে বাঙালী জাতির উৎপত্তি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়' (পৃ-৪৯, পূর্বোক্ত)। এই বাঙ নামকরণ হযরত নুহর প্রপৌত্র বঙ থেকেই উদ্ভূত। আর্য হিন্দু প্রভাবিত ইতিহাসবিদ, লেখক, গবেষকরা এ তথ্যকে গোপন বা অস্বীকার করলেও এটিই প্রকৃত ও সত্য ইতিহাস।
সাম্রাজ্যবাদের তল্পিবাহক বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজ বাংলাদেশি মুসলমানদের শেকড়শূন্য ও বহিরাগত হিসেবে প্রতিপন্ন করতে সঙ্কল্পবদ্ধ। পার্বত্য উপজাতিরা ওই অঞ্চলে সর্বোচ্চ তিনশ বছর পূর্বে এ অঞ্চলে আগমন করে। আর মুসলমানরা সভ্যতার শুরু থেকেই বাংলাদেশের বাসিন্দা। তাই বাংলাদেশি মুসলমানরাই বাংলাদেশের আদিবাসী ও প্রাচীন অধিবাসী। মুসলমানরাই ভারতবর্ষের সুপ্রাচীন জাতিগোষ্ঠী।  

 

বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান: ডিসকভারী চ্যানেলের ‘সুপার হিউম্যান' মার্শাল আর্ট গ্র্যান্ড মাস্টার ড. ইউরী

বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান:
ডিসকভারী চ্যানেলের ‘সুপার হিউম্যান' মার্শাল আর্ট গ্র্যান্ড মাস্টার ড. ইউরী
 
সাদেকুর রহমান : একজন অসাধারণ, বিশ্ব রেকর্ডধারী ব্যক্তি তিনি। এ উপমহাদেশের প্রাচীন আত্মরক্ষামূলক শিল্পকলা ব্যুত্থান আর্ট যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিশ্বব্যাপী আজ পরিচিত ও সমাদৃত। সর্বান্তকরণে বাংলাদেশী এই মানুষটি পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মার্শাল আর্ট গ্র্যান্ড মাস্টার। মার্শাল আর্টের ওপর দেশের একমাত্র পিএইচডি ডিগ্রীধারী ব্যক্তিত্ব মিলিটারী আন-আর্মড কমব্যাট, ল-এনফোর্সমেন্ট, কাউন্টার-টেরোরিস্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ ও প্রশিক্ষক হিসেবে নিজ মানচিত্রের বাইরেও বিপুল সমাদৃত। তিনি ড. মুহাম্মদ আনোয়ার কামাল ইউরী। ড. ম্যাক ইউরী বা ড. ইউরী নামেই জগদ্বিখ্যাত তিনি।
নিজ দেশের প্রায় অপরিচিত হলেও তিনি তার অতিমানবীয় সিনবোন কিকের জন্য দুনিয়া জোড়া ‘থান্ডার সিনম্যান' হিসেবে ইতিমধ্যেই ব্যাপক পরিচিতি ও প্রশংসা অর্জন করেন। তাকে নিয়েই আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেল ডিসকভারী নির্মাণ করেছে একটি বিশেষ ডকুমেন্টারী। চ্যানেল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্বের আরো আটজন মেধাবী, সমকালীন সেরা কীর্তিমান ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি ড. ইউরীর পেশাগত জীবনীভিত্তিক ডকুমেন্টারীটি উক্ত চ্যানেলে প্রদর্শিত হচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহল বলছেন, যে কোনো বিচারে এটি বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান ও অর্জন।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মার্শাল আর্ট গ্র্যান্ড মাস্টার ড. ইউরী ডিসকভারী চ্যানেলে তার উপর ডকুমেন্টারী প্রদর্শনের প্রতিক্রিয়ায় দৈনিক সংগ্রামকে জানান, খুব ভালোই লাগছে। আবার কষ্টও লাগে- যখন দেখি দেশের মানুষের অবজ্ঞা-অবহেলা। দেশের মানুষ সম্মান না দিলে বিদেশীরা যতই সম্মানিত করুক তাতে কি তৃষ্ণা মিটে। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিসকভারী কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে ৪০ জন যশস্বী ব্যক্তিত্বকে নির্বাচন করেছিল। সেখান থেকে তারা তাদের মানদন্ড বিবেচনায় মোট নয়জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করে ‘সুপার হিউম্যান শোডাউন' শিরোনামের ডকুমেন্টারী বানায়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চ্যানেলটির নিয়ন্ত্রণ করে শক্তিধর একটি দেশ, তারা ঠিকমতো শিডিউল পর্যন্ত দেয়নি। তাই সুপার হিউম্যান (অতিমানব) অনুষ্ঠানটি নিয়মিত দেখানো শুরু হলেও কোন ব্যক্তিত্বকে কখন দেখানো হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে একেকজন ‘সুপার হিউম্যান'কে পঞ্চাশ বার করে দেখানো হবে বলে জানান ড. ইউরী। গ্রান্ডমাস্টার ড. ইউরী ভারতের কাঞ্চিপুরম ও চীনের শাওলিনটেম্পল-এ অনুসন্ধানী গবেষণার মাধ্যমে ভারতীয় মার্শাল আর্ট-এর লুপ্ত প্রায় ইতিহাস ও ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করেন। তিনি মার্শাল আর্ট-এর সর্বোচ্চ পদাধিকারী (দশম লেভেল, ব্ল্যাক বেল্টধারী) এবং ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট সিস্টেমের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি মার্শাল আর্ট জগতের বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, বিশেষজ্ঞ অথরিটি হিসেবে বিবেচিত এবং পৃথিবীর ৬টি শীর্ষস্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সর্বোচ্চ ক্যাটাগরিতে গ্রান্ডমাস্টার অফ দি ইয়ার হিসেবে অভূতপূর্ব স্বীকৃতি অর্জন করে পৃথিবীব্যাপী চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন। ড. ইউরী বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মার্শাল আর্ট গ্র্যান্ডমাস্টারদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড গ্রান্ডমাস্টারস কাউন্সিল, আমেরিকা-এর সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘গ্রান্ড মাস্টার পিনাকেল অ্যাওয়ার্ড-২০০৯' লাভ করেন। অসাধারণ প্রতিভাবান ক্যাডেট হিসেবে তিনি বরাবরই কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্যের সাথে পরিচয় দিয়ে এসেছেন। মিলিটারি সাইন্স, ফিজিক্যাল ট্রেনিং, অবস্ট্রাকল কোর্স, আন আর্মড কমব্যাট, মিলিটারি ড্রিলস প্যারেডের মতো বিষয়সমূহে। সেই সাথে, চৌকস নৈপুণ্যের জন্য তিনি বরাবরই পাইলট ইউনিট কালার পার্টির অগ্রভাগে জাতীয় পতাকা বহনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি সূচারুসরূপে পালন করতেন। তিনি হাতে গোনা কয়েকজন ডিস্টিংগুইস্ট ক্যাডেট পদকপ্রাপ্তদের অন্যতম হওয়ার বিরল সৌভাগ্য লাভ করেন। মাত্র ১১ বছর বয়সে। তিনি বার্মিজ ক্লাসিক্যাল আন আর্মড কমব্যাট ও অস্ত্রবিদ্যা ভিত্তিক (বান্ডো ও বানশে) মার্শাল আর্ট চর্চা শুরু করেন।
ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট এবং কমব্যাট সেল্ফ ডিফেন্স (সিএসডি) ড. ইউরীর বৈপ্লবিক ও যুগান্তকারী চিন্তার ফসল, যা বিশ্বের দেশ ও সংস্কৃতির মানুষের আধুনিক জীবন-যাত্রার নিজের সুরক্ষা ও সল্প সময়ে নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাদের জন্য আধুনিক শিক্ষা কৌশল হিসেবে সমাদৃত হয়েছে। সার্কভুক্ত দেশসমূহের দু'শতাধিক কোটি মানুষের মধ্যে ড. ইউরীই প্রথম ও একমাত্র ব্যক্তি যিনি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ‘ওয়ার্ল্ড মার্শাল আর্ট হল অব ফেইম' পদক লাভ করে- গ্র্যান্ড মাস্টার অব দ্য ইয়ার ২০০৭ নির্বাচিত হন। তিনি ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি একাডেমি', আমেরিকা থেকে কমিশন অফিসার্স কোর্স সমাপ্ত করেন। বৃটিশ হোম অফিস অধীনস্ত সিকিউরিটি ইন্ডাস্ট্রি অথরিটি ভিআইপি প্রটেকশনের ওপর সর্বোচ্চ প্রফেশনাল ডিগ্রি অর্জন করেন। বৃটিশ আর্মি রয়েল ইঞ্জিনিয়ার্স-এর অধীনে বিস্ফোরক সার্চ এন্ড রিকগনিশন কোর্সও সম্পন্ন করেন। ফায়ার ট্রেনিং একাডেমি, ইংল্যান্ড থেকে ফায়ার মার্শাল কোর্স সম্পন্ন করেন ও বৃটিশ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিনি (এভিয়েশন লেভেল-৪) প্রশিক্ষণ শেষে সনদ অর্জন করেন। উল্লেখ্য, ড. ইউরী ইন্টারন্যাশনাল কমব্যাট মার্শাল আর্টস ইউনিয়নের এসোসিয়েশন একজন প্রথিতযশা হিসেবে অনন্য স্বীকৃতি লাভ করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেন। তিনি এফবিআই, এসএএস, সিআইএ, বৃটিশ আর্মি, লাটভিয়ান, স্পেশাল ফোর্স, আইরিস কারেকশন ডিপার্টমেন্ট ইত্যাদি আন্তঃদেশীয় বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের সঙ্গে ক্রস ট্রেনিং-এর পাশাপাশি দেশের সরকারি নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীসমূহের প্রশিক্ষণে নিয়োজিত দেশ-এর প্রথম ও শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ‘রেঞ্জারস একাডেমি অব সিকিউরিটি এন্ড ডিফেন্স'-এর কমান্ডেন্ট হিসেবে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, পুলিশ, কোস্ট গার্ড, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী, এনএসআই, পুলিশ স্টাফ কলেজ, স্কুল অব মিলিটারি ইন্টিলিজেন্সসহ স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়স্থ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষাণাদি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী কর্তৃক ব্যবহৃত সিকিউরিটি ব্যাটন ড. ইউরীই উদ্ভাবন করেন। এছাড়া, ড. ইউরী ইন্টারন্যাশনাল বডি গার্ড এসোসিয়েশন, ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ ট্যাকটিস ট্রেইনার্স এসোসিয়েশন (আইপিটিটিএ), যুক্তরাজ্যের ল-এনফোর্সমেন্ট ট্রেনিং এজেন্সিজ (আইইএলইটিএ)-এর সার্টিফাইড ইন্সট্রাক্টর, আমেরিকান সোসাইটি ফর ল-এনফোর্সমেন্ট ট্রেইনার্স (এলএলইটি), আমেরিকান সোসাইটি অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি (এএসআইএস) ইত্যাদি সংগঠনসমূহেরও তিনি সদস্য।

Source: http://www.dailysangram.com
7 October 2012 
 

Monday, October 1, 2012

ফ্ল্যাট কিনেও ভাড়া থাকছেন অনেক ক্রেতা আবাসন খাতে ৩ বছর ধরে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ হুমকির মুখে ৯০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ

ফ্ল্যাট কিনেও ভাড়া থাকছেন অনেক ক্রেতা:
আবাসন খাতে ৩ বছর ধরে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ -
হুমকির মুখে ৯০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ
 
কামাল উদ্দিন সুমন : আবাসন শিল্পে চরম দুঃসময় চলছে। একদিকে গত ৩ বছর ধরে নেই নতুন গ্যাস সংযোগ। অন্যদিকে ফ্ল্যাট ও প্লটের ক্রেতা কম হওয়ায় বিক্রি কমেছে। গ্যাস সংযোগ না পাওয়ায় অনেক কোম্পানি তাদের বিক্রিত ফ্ল্যাট ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করতে পারছে না। আর ফ্ল্যাট কিনেও ভাড়ায় থাকছেন অনেকে। আর গ্যাসের অভাবে এ খাতে ৯০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এখন হুমকির মুখে বলে জানিয়েছেন এ খাতের একাধিক বিনিয়োগকারী।
সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ২১ জুলাই থেকে সব ধরনের নতুন  সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। একইভাবে ২০১০ সালের ১৩ জুলাই থেকে দেশব্যাপী আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের সংযোগ দেয়া বন্ধ রাখা হয়। তবে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য এই বলে নিশ্চয়তা দেয়া হয় যে দেশে যখন দৈনিক দুই হাজার দুইশ' এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হবে তখন থেকেই সব আবাসিক গ্রাহকদের সংযোগ আবার দেয়া হবে। সরকার সম্প্রতি শিল্প কারখানায় নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও কবে তা বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেক ব্যবসায়ী।
সূত্র মতে, গত তিন বছর ধরে আবাসন শিল্পে গ্যাসের নতুন সংযোগ বন্ধ রয়েছে। শিল্প ও আবাসন খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা। সুদসহ ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে অনেকেই দেউলিয়া হওয়ার পথে। শুধু গ্যাস সংযোগের অভাবে ফ্ল্যাট বিক্রি করতে পারছেন না অনেক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা। নতুন গ্যাস সংযোগের অভাবে ৯০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এখন হুমকির মুখে। এর মধ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। এ সময় ফ্ল্যাট বিক্রি কমেছে ৪২ শতাংশ।
আবাসন ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র জানায়, শুধুমাত্র এ সরকারের আমলেই তিন বছর ধরে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রেখে নতুন নজির স্থাপন করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সরকারের সময় কয়েক মাসের জন্য বন্ধ থাকার ঘটনা ঘটলেও এত দীর্ঘ সময়ের জন্য গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখার ঘটনা এটাই প্রথম। বর্তমান সরকারের দাবি, গত ৩ বছরে গ্যাসের উৎপাদন বেড়েছে সাড়ে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। আবাসন খাতে নতুন সংযোগ দিলেও প্রয়োজন হবে মাত্র ১০ মিলিয়ন ঘনফুট।
গৃহায়ন খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) সূত্র জানায়, ফ্ল্যাটের কেনা-বেচা সম্প্রতি ৪২ শতাংশ কমেছে। উন্নয়ন কাজ শেষ হলেও গ্যাস সংযোগ না থাকায় কয়েক লাখ ফ্ল্যাট ও এ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে উদ্যোক্তাদের অন্তত ৯০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় যেকোনো সময় আবাসন খাতে বড় রকমের ধস নামতে পারে। গৃহায়ন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আড়াই শতাধিক শিল্পের প্রায় ১০ হাজার প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং আড়াই কোটি লোকের বেকার হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি রেডি ফ্ল্যাট এখন অবিক্রীত অবস্থায় রয়েছে।
জানা যায়, গ্যাস সংযোগ না থাকায় মন্দার কবলে পড়েছে দেশের আবাসন শিল্প। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আবাসন খাতে এমনিতেই চলছে ক্রেতা সংকট। ফ্ল্যাট ও প্লটের ক্রেতা নেই। তাই বিক্রিও নেই। এ অবস্থায় অনেক প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাঁটাই। বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বহু আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় গ্যাস সংযোগ সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে গোটা আবাসন খাতে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
রিহ্যাবের একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকার আবাসন সংকট মোকাবিলায় সত্যিই আন্তরিক নয়। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে এ খাতে চলছে লুকোচুরি। নির্মাণ কাজ শেষ করেও গ্যাস সংযোগ না পাওয়ায় এ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করতে পারছেন না উদ্যোক্তারা।
রিহ্যাব সূত্রে জানা গেছে, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ মেটাতে গত ২০ বছরে ঢাকায় প্রায় এক লাখ নতুন এ্যাপার্টমেন্ট তৈরি হয়েছে। জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান অন্তত ১৩ শতাংশ। এ খাতে দুর্যোগ নেমে এলে অন্তত পাঁচ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে সূত্র দাবি করে।
 
শুক্রবার 28 September 2012