Wednesday, December 9, 2015

প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে “গান শেখানো হয়”

হাম্পব্যাক তিমি নিজে শুধু গান গায়ই না বরং অন্যান্য তিমি কে গানও শিখায়। এবং কিছু কিছু গান বিশ্ব বিখ্যাতও হয়েছে এবং জনপ্রিয়তার (মূলতঃ তিমিপ্রিয়তা ) জন্য সেই গান বিশ্বের বিভিন্ন সাগর মহাসাগরের অন্যন্য তিমিদের কাছে পৌছে গেছে এবং সেই গান বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার তিমিদের শিখাচ্ছে অন্যন্য তিমিরা।

প্রশান্ত মহাসাগরী অঞ্চলে হ্যাম্পব্যাক প্রজাতীর তিমিদের মধ্য থেকে ১১ টি জনপ্রিয় গান রেকর্ডিং করেছে গবেষক দল। গানগুলো ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৮ সালে অনেক বেশি বিখ্যাত ছিল তিমিদের রাজ্যে। গত বৃহস্পতিবার ১৪ই এপ্রিল’১১ তাদের পর্যবেক্ষণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে জানানো হয়- গানগুলো এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে যেতে এক বছরের মতো সময় লেগে যায়। পূর্ব অস্ট্রেলিয়াতে যে গান শোনা যায় এক বছর পরে সেটা আবার ফ্রান্স পলিনেশিয়াতে শোনা যায়।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের গারল্যান্ড জানান সম্ভবতঃ প্রজননের জন্যই এই সময় লাগে। শুধুমাত্র পুরুষ তিমিই গান গায় এবং সম্ভবতঃ স্ত্রী তিমিদের আকৃষ্ট করারা জন্য। বিশেষ করে তারা একই দলভুক্ত হয়ে থাকার কারনে গান প্রচার করা বা অন্য দলের তিমিকে শিখানোতেও দেরী হয়ে যায়।
আরো একটি মজার তথ্যও জানা গেছে- মানুষ যেমন গানগুলোর সুরকে একটু পরিবর্তন বা রিমিক্স যোগ করে ঠিক তেমনিভাবে, এক প্রজাতী থেকে অন্য প্রজাতীতে গানগুলো ছড়ানোর পরে বেশ কিছু বিকৃতিও লক্ষ্য করা যায়।

তাহলে শুনে নেই তিমি রাজ্যের জনপ্রিয় একটি গান:

Tuesday, October 27, 2015

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সবার জন্য প্রয়োজনীয় ১৫০ পৃষ্ঠার সম্পূর্ণ বাংলা ই-বুক বা Pdf বই(+ মোবাইল ভার্সন )

“ মানবব্যাধি ও চিকিৎসা সহায়িকা” এখানে ৬০ টি সাধারন রোগ সম্বন্ধে প্রয়োজনীয় সব তথ্য দেওয়া আছে ... এবং প্রত্যেক আলোচিত রোগের প্রাথমিক ধারনা , রোগের কারন সমূহ, উপসর্গ ও লক্ষণ, কি করা উচিত, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন, প্রাথমিক চিকিৎসা, আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা, ও কি খাবার খেতে হবে এবং কখন ডাক্তার দেখাবেন ইত্যাদি পয়েন্ট আকারে আলোচনা করা হয়েছে যাতে সহজে আপনি বুঝতে পারেন ...আপনাদের পাড়ার ও বুঝার  সুবিধার কথা মাথায় রেখে রোগগুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।
এই রকম গোছানো , সহজ ও তথ্য নির্ভর চিকিৎসা বিষয়ক ই-বুক আগে কখনো দেখেছেন বলে মনে হয় না…


এই ই-বুকের সুবিধাঃ  
ক্যাটগরী ভিত্তিক হওয়ায় সহজেই পড়তে পারবেন ও বুঝতে পারবেন।
তাছাড়া এই বইতে বুকমার্ক মেনু ও হাইপারলিঙ্ক মেনু যুক্ত আছে আপনাকে কোন অধ্যায়ে যেতে মাউসের চাকা ঘুরানো লাগবে জাস্ট ওই অধ্যায়ের নামের উপর ক্লিক করলেই হবে ...।
এই ই-বুক সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে ...
আপনার নিজ চোখে অনলাইন লাইভ ভিউ দেখে আসুন। তাহলেই সব বুঝতে পারবেন। তারপর সিদ্বান্ত নিন আপনার মেগাবাইট খরচ করে ডাউনলোড করবেন কিনা ... !!!
ভদ্রতার খাতিরে কিছু কথাঃ 
স্বাস্থ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত। চিকিৎসকের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি বলে একজন চিকিৎসকের পক্ষে একই সময়ে অনেক রোগীর সেবা প্রদানও সম্ভব নয়। তাই ছোট ও সাধারন রোগ গুলোর জন্য ডাক্তারের কাছে না গিয়ে একটু সচেতন ভাবে পরিচর্যা করলেই সুস্থ হওয়া যায় … কিন্তু কিভাবে ও কিধরণের পরিচর্যা করবেন তা জানার জন্য আগে আপনাকে জানতে হবে এইটা কি ধরনের সমস্যা … আর এর প্রতিকারের জন্য কি করা উচিত …
তাই বলা হয় "সুস্থ ভাবে বাঁচতে জানতে হবে” আরো বলা হয়  Prevention is better than cure."  অর্থাৎ নিরাময়ের চেয়ে প্রতিকার ভালো। ব্যাক্তি সচেতনতা দিতে পারে নিরোগ শরীর। আর নিরোগ শরীরের জন্য চিকিৎসার কোন প্রয়োজন নেই। আমরা. প্রত্যেকে যদি নিজে কেবলমাত্র নিজের দায়িত্ব নেই তবে রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চললে অর্জন হবে সুস্বাস্থ্য, বেচে যাবে বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা খাতের খরচ।
বাংলাভাষায় সহজবোধ্য চিকিৎসা বিষয়ক তেমন ই-বুক নেই। এসব বিবেচনা করে রচিত হয়েছে, “A Complete bangla Handbook for Self Diagnosis and Treatment” প্রাথমিক চিকিৎসা সহায়িকা’ নামক গ্রন্থটি। মোট কথা এই বইটা সবার সংরক্ষণে রাখা উচিত … কোন কোন সময় এই ই-বুক অনেক বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা করবে … তাছাড়া বইটি পরিবারে সংগ্রহ করে রাখার মতোই। ধন্যবাদ।

অনলাইনে লাইভ পড়তে বা প্রিভিউ দেখতে চাইলেঃ

বইয়ের নাম “মানবব্যাধি ও চিকিৎসা সহায়িকা”

A Complete bangla Handbook for Self Diagnosis and Treatment.rar
সাইজঃ ১৪ এমবি
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৫০
টেক্সট ফরম্যাটঃ ইউনিকোড

ডাউনলোড লিঙ্কঃ
http://www21.zippyshare.com/v/MmKZO2Qu/file.html
অথবা

মোবাইল ভার্সনঃ

A Complete bangla Handbook for Self Diagnosis and Treatment (Mobile Version).pdf
ডাউনলোড লিঙ্কঃ
http://www21.zippyshare.com/v/MeJrsPAz/file.html
অথবা


বই পড়ার জন্য নিয়ে নিন অতি চমৎকার একটি ই-বুক রিডার যা আপনার চোখকে বাচাবে ব্রাইটনেস থেকে। (অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য)


বই পড়তে আমাদের ভালো লাগুক আর নাই লাগুক, বই আমাদের নিত্যসঙ্গী। বই বলতেই আমাদের কাগজে ছাপা ও বাঁধাই করা এক বস্তু :’3 চোখের সামনে ভেসে ওঠে :’p। তবে আধুনিক যুগে কিংবা সময়ের পরিবর্তনে কাগজের বইগুলো ইলেক্ট্রনিক বুক বা ই-বুক আকারে বের হচ্ছে। কপিপেস্ট আর পাইরেসির এই যুগে সব লেখকদের জন্য এটা তেমন খুশির খবর না হলেও পাঠকদের কাছে অনেক মজার ব্যাপারই বটে…… কারন… আর বলতে চাই না :”D
প্যাচাল ছেড়ে কাজের কথায় আসি,
Ebook পড়ার জন্য ই-রিডার থাকলেও সবার ই-রিডার নেই তাই স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবই ভরসা। এসব ডিভাইসে ই-বুক পড়ার জন্য পাওয়া যায় অনেক Ebook apps। কিন্তু সব এপসই ebook পড়ার উপযোগী নয়। যেহেতু বই পড়া একটি সময় সাপেক্ষ্য কাজ, অনেকক্ষন স্কিনের ব্রাইট আলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়, যা চোখের জন্য ক্ষতিকর …যেমন_ চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখে ব্যাথা, মাথায় পেইন সহ সাময়িক কিছু সাইডইফেক্ট হতে পারে। এসব উপসর্গ থেকে বাচতে প্রয়োজন একটি ভালমানের ই-বুক এপ ব্যবহার করা। যেটি আপনার চোখের ভাল কেয়ার করতে পারে।
pc তে নিশ্চই Adobe Reader ব্যবহার করেছেন কিন্তু এন্ড্রয়েডে এসে এর আর প্রয়োজন নেই কারন এর থেকে অনেক ভাল ভাল এপস আছে।যেমন… “মুন রিডার” …একে এন্ড্রয়েডের বেস্ট ই-বুক রিডার বললেও ভুল হবে না।
অনেকেই হয়ত আগে থেকে এটি ব্যবহার করছেন আবার অনেকে নতুন। আসুন দেখে নেই এর কিছু সুবিধা, :’)
• Moon+ Reader Pro
হচ্ছে একটি সম্পুর্ন কাস্টমাইজেবল ই-বুক রিডার এপ। এর ‘My Self’ এর সাহায্যে আপনার স্মার্টফোন/ট্যাবকে হাজার খানেক বইয়ের একটি লাইব্রেরী বানিয়ে ফেলতে পারবেন। বইয়ের নাম,কাভার, ডিসক্রিপশন, লেখক এর নামও চেঞ্জ করে নিতে পারবেন। আছে ফেভারিট ও ট্যাগিং সুবিধাও।
• ইন্টারনেট আর্চিভ,গুটেনবার্গ,ম্যানি বুকসের মত অনলাইনে থাকা বইয়ের ফ্রী সোর্সগুলো থেকে বিভিন্ন ভাষার বই ডাউনলোড করে পড়া যাবে।
• গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স থাকা বই গুলোও ftp এর সাহায্যে এর সাথে যুক্ত করতে পারবেন।
• ইবুক পড়ার সময় “ডে/নাইট” মোড ছাড়াও ১০টির বেশি থীমে পরিবর্তন করে নেয়া যাবে ব্যাকগ্রাউন্ড।
• মোবাইলে ই-বুক পড়তে গিয়ে কমন সমস্যা হচ্ছে zoom করে পড়া, স্ক্রলিং করতে গিয়ে পেইজ এদিক সেদিক করে ফেলা যা খুবই বিরক্তকর কিন্তু এতে টার্চ স্কিন, ভলিউম, ক্যামেরা, সার্চ যেকোন key দিয়ে পেইজিং ও পেইজ লক সুবিধা থাকায় পেইজ এদিক সেদিক যাবার চিন্তা নেই।
• কোন বইটা কত পার্সেন্ট পড়া হল, প্রত্যেক পেইজ পড়তে কত মিনিট, সাপ্তাহ-মাসে কত ঘন্টা বই পড়েন এসব তথ্য জানতে পারবেন এর Statistics অপশনের মাধ্যমে।
• আপনার মোবাইলে যদি PICO, IVONA এর মত text to speech বা TTS ভয়েস ইঞ্জিন থাকে তাহলে ডিজিটাল কনন্টেট এর বই গুলো আডিও আকারে শুনতে পারবেন মানে কষ্ট করে আর বই পড়তে হবে না বই-ই আপনাকে পড়ে শুনাবে!
• সাপোর্ট করবে txt, html, epub, umd, fb2, pdf, chm, zip or OPDS,
সহ আরও অনেক ফরম্যাট এর ফাইল।
এখানে ‘মুন রিডারে’র কয়েকটি সুবিধার কথা বলা হল মাত্র এর আরও অনেক অনেক ফিচার রয়েছে। সেগুলো আপনার জন্য সারপ্রাইজ হিসেবে রইল
ডাউনলোড করে নিন নিচের লিংক থেকে।

বিপিএল এর ইতিহাস, রেকর্ড,পারিশ্রমিক, টিম স্কোয়াড ও সময় সূচীসহ বিস্তারিত নিয়ে নিন ২ এমবি সাইজের ছোট একটি ইবুকে


দেখতে দেখতে চলে আসল বিপিএল এর ৩য় আসর – বিপিএল ২০১৫। কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবার শুরু হচ্ছে জমজমাট বিপিএল এর আসর। আবারো দেখা যাবে জমজমাট ক্রিকেটের ব্যাটে-বলের লড়াই। টানটান উত্তেজনা নিয়ে আমরা আমাদের প্রিয়দল গুলোর খেলা দেখব। আর প্রিয় দলের খেলার খবর রাখতে প্রয়োজন হচ্ছে খেলার পূর্ণাজ্ঞ সময়সূচী। এছাড়া বিপিএল এর ইতিহাস , রেকর্ড, প্লেয়াদের প্রাইজমানি, কে কোন দলে খেলবে ইত্যাদি জানার কৌতুহুল মুটামুটি সবারই থাকে। আর সেই চাহিদা অনুভব করেই বানিয়ে পেললাম “BPL 2015 ”।
এতে আপনি এবারের বিপিএল এর পূর্ণাঙ্ঘ শিডিউলটি সহ পাবেন আরো অনেক কিছু। কি কি থাকছে নিচে দেখে নিন।
ইবুকঃ
নামঃ বিপিএল – ২০১৫ (PDf)
সাইজঃ ১.৭০ এমবি
পৃষ্ঠাঃ ১০
ডাউনলোড সিস্টেমঃ Just Click For Download
ডাউনলোড লিঙ্ক(মিডিয়া ফায়ার):
http://www.mediafire.com/download/ak4zzocfkr2fcr9/BPL_2015.pdf
যা যা থাকছে এই ইবুকেঃ
* কে কোন দলের হয়ে খেলবে। দল অনুযায়ী দেশী-বিদেশী প্লেয়ারদের লিস্ট দেওয়া হয়েছে।
* বিপিএল এর আগের দুই আসরের ইতিহাস
* বিপিএল এর রেকর্ড সমূহ
* প্লেয়ারদের পারিশ্রমিক
* খেলার নিয়ম কানুন
* সর্বশেষে থাকছে বাংলায় সমূহ ম্যাচ শিডিউল
মেতে উঠুন বিপিএল এর পছন্দের দলকে নিয়ে আর ইবুকটি শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে।

Saturday, August 22, 2015

প্রযুক্তি- বইকে কেড়ে নিচ্ছে নাকি দিচ্ছে নতুনত্ব?



সাদিয়া ইসলাম : প্রযুক্তির উত্কর্ষ দিনকে দিন বেড়েই চলছে। আর একের পর এক মানব জীবনের নতুন নতুন সব ক্ষেত্রে এটি ফেলে চলেছে নিজের প্রভাব। মানুষ তার অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যত নিয়ে ভাবা কথা আর স্মৃতিগুলো সবসময়েই আটকে রাখতে চেয়েছে কাগজের পাতায়। কলমের নানারকম আঁকিবুকিতে নিজেদের অভিজ্ঞতা আর চিন্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছে নতুন প্রজন্মের কাছে।
আর মানুষের এই অক্লান্ত চেষ্টার ফলেই সেই সুদূর অতীত থেকে এখন অব্দি রচিত হয়েছে লাখ লাখ বই। নানা ভাষার বই, নানা ধারার বই। মানব সভ্যতার একটা অবিচ্ছেদ্য অংশই হয়ে গিয়েছে বই এখন। কিন্তু প্রযুক্তি ছেড়ে কথা বলেনি মানুষের এই কালো কালির স্বর্ণসম্ভারকেও। ধীরে ধীরে আরো দশটা ক্ষেত্রের মতন ছাপা অক্ষরের সম্পদ বইকেও নিয়ে এসেছে প্রযুক্তি তার হাতের মুঠোয়।
তৈরি হয়েছে ই-বুক, ই-লাইব্রেরি, ই-বুকশপসহ আরো হাজারটা জিনিস, যাতে করে ছাপা হরফের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা পড়ে গিয়েছেন দুঃশ্চিন্তায়। সত্যিই কী একটা সময় সত্যিকারের বই পড়ার মতন মানুষ থাকবে না আর? সবাই কী হয়ে পড়বে একেবারেই প্রযুক্তিনির্ভর? অ্যামাজন, রকমারী, বেমস অ্যান্ড নোবেলস নুকসহ আরো অনেক ই-বই এর সম্ভার প্রতিনিয়তই এই শঙ্কা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে সবার মনে।
কোমা প্রেসের ডিজিটাল সম্পাদক জিম হিংকস এ নিয়ে বলেন, ‘সাহিত্য ইন্টারনেটের সঙ্গে যুদ্ধে নেমেছে!’ কে জানে! সত্যিই হয়তো তাই। কিন্তু একেবারেই কী সত্যি কথাটা? তাহলে এতদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও মানুষ কেন বই কেনে? কেন বই মেলা হয়? কেন এখনো লাইব্রেরি টিকে আছে আর টিকে আছে ছাপা হরফের বইগুলো? আসুন জেনে নিই।
ই-বুক
নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরন্তন। আর তাই নতুন কোন কিছুর সন্ধান পেলে মানুষ সেদিকেই মনযোগ দেয় প্রথমে। ঝাপিয়ে পড়ে। সেটা ভালোবেসেই হোক কিংবা না বেসে। আর ঠিক তেমনটাই লক্ষ্য করা যাবে যদি বছর বছর ই-বুক বিক্রির হিসেবটা দেখে নেওয়া যায়। হিসেবে দেখা যায়, আমাজান কিন্ডেল যেখানে ২০০৯ সালে ১৩.৪৪ মিলিয়নের ব্যবসা করেছে, সেখানে ২০১১ তে এসে সেটা নেমে গিয়েছে ৯.৭ মিলিয়নে। বেমস অ্যান্ড নোবেলস নুক প্রতিবছর ৭০ মিলিয়ন ডলারের পাঠক হারাতে শুরু করেছে। কমেছে বাকিদের ব্যবসাও! এ ছাড়া ২০১৪ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে ই-বুক এর জন্যে মানুষ মোট খরচ করেছে ৩৯৩ মিলিয়ন। যেখানে কিনা ছাপা হরফের বই এর জন্যে তারা ব্যয় করেছে ১.৭ বিলিয়ন। এই সংখ্যাগুলো হিসেব করলেই একজন অনভিজ্ঞ মানুষও এক কথায় সিদ্ধান্তে চলে আসতে পারবে যে ই-বুকের চাহিদা কমে যাচ্ছে।

একটা সময় হঠাৎ করেই ই-বুক এর প্রতি আকর্ষণ বেড়ে গেলেও বর্তমানে আবার ফিরে আসছে ছাপা বই। ছাপা বই এর চাহিদা হঠাৎ করে কমে যেতে শুরু করলেও সেই গতি এখন ধীর হয়েছে। কিছুদিন আগেও ছাপা বই এর দিন শেষ হয়ে এসেছে বলে মনে করা হলেও ব্যাপারটা এখন আর অতটা গ্রহণযোগ্য বলে মনে হচ্ছেনা। ধ্বংস থেকে অনেক অনেক দূরেই রয়েছে এখনো ছাপা বই। বর্তমানে বড়দের কিছু বই, আবেগঘন উপন্যাস ও ফিকশন ছাড়া আর সব বই এর চাহিদা আটকে রয়েছে সেই ছাপা বই এর ভেতরেই। বিশেষ করে রান্না ও ধর্মীয় বই এর চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে এবং সেটা একমাত্র ছাপা অক্ষরেই।
পার্থক্য কতটা?
সত্যিই কী ই-বুক আর সত্যিকারের বই খুব বেশি আলাদা কিছু? ২০১৪ সালে একটি পদক্ষেপ নেওয়া হয় এই ব্যাপারে। ‘দ্য গার্ল হু লস্ট হার নেম’ নামের একটি অনলাইন বই বের করা হয় বাচ্চাদের জন্যে। অষ্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেনের বাচ্চাদের কাছে প্রচন্ডরকম জনপ্রিয় হয় বইটি। সি বুক নামক স্প্যানিশ কোম্পানি ই-বুকগুলোকে ছাপা বই করে বিক্রি করার একটা প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং সেগুলো অনলাইনেই কেনার ব্যবস্থা রয়েছে। শুধু তাই নয়, এভাবে তারা বিক্রি করতে শুরু করেছে ই-কার্ডও। এ প্রসঙ্গে সি বুকের পরিচালক ড. রোজা সালা রোজ বলেন, ‘এখনো অব্দি অনেক বইয়ের দোকান মনে করে ই-বুক তাদেরকে ধ্বংস করে ফেলবে।’

লন্ডনের একটি টেক-স্টার্ট আপ বুকিনডি প্রতিনিয়ত ছাপা বই কিনতে মানুষকে উত্সাহিত করে যাচ্ছে তাদের প্রযুক্তির মাধ্যমে। গুগল ক্রোমে অ্যামাজনের বই দেখতে গেলে সেখানেও নিকটস্থ বই এর দোকানে খুঁজতে থাকা বইটি কত টাকায় পাওয়া যাবে সেটাও বলে দিচ্ছে। এভাবে রোজই নিজেদের মতন করে প্রযুক্তি ছাপা বইকে সাহায্য করে আসছে।
পুরনো মদ নতুন বোতলে
পেঙ্গুইন বুক ডিজিটালের প্রধান অ্যানা রেফার্টি জানান, ‘ইদানিং প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলেই অনেক অনেক পুরনো ব্যাপার আমাদের সামনে আসছে। পুরনো লেখা ও লেখকের সঙ্গে পরিচিত হতে পারছি আমরা।’ নিজের কথার পক্ষে চার্লস ডিকেন্সের ১৮৩৬ সালে প্রকাশিত দ্য পিকউইক পেপার্সের কথা উল্লেখ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ইন্টারনেটের এই সহজপ্রাপ্যতা লেখকদের জন্যেও অনেক বেশি সুবিধা তৈরি করে দিচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।
নিজেদের মেধা প্রকাশ করতে বর্তমানে লেখক আর প্রকাশকদেরকে অনেকটা কম পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। অ্যানা বলেন, ‘এটা লেখকদেরকেও সরাসরি বই প্রকাশ করবার উপায় করে দিচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে নিজের পাঠকদের কাছে যেতে ও নিজের লেখাকে অনুভব করার সুযোগ করে দিচ্ছে।’
এর পাশাপাশি বর্তমানে লেখকের কন্ঠকেও পাঠকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ইন্টারনেট। প্রযুক্তির এই উত্কর্ষের ফলে বাসায় বসেই লেখকের নিজের কন্ঠের আবৃত্তি কিংবা পাঠ শুনতে পাচ্ছে শ্রোতারা। ফলে আনন্দের একটা ভিন্নমাত্রা যেমন তৈরি হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে বিশ্লেষনের একটা ক্ষেত্রও। লেখক সহজেই বুঝতে পারছেন যে, ঠিক কোন জায়গায় এসে পাঠক তাদের আকর্ষণ হারাচ্ছে এবং শোনা বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে নিজেকে যাচাই এরও একটা ভালো উপায় করে দিচ্ছে প্রযুক্তি লেখকদেরকে।
অনলাইনে রেটিংসের ব্যাপার রয়েছে। সেখানে পাঠকের মন্তব্য করার জায়গাও আছে। ফলে কোন বইটি ভালো কাজ করছে, কোনটি নয়, সেটা জানবার জন্যে এখন আর লেখককে প্রকাশকের মুখাপেক্ষি হয়ে থাকতে হচ্ছে না। প্রকাশকও খুব সহজেই পাঠকের চাহিদা বুঝতে পারছেন। আর অন্যদিকে পাঠকও একটি বই এর রেটিংস ও মন্তব্য পড়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে যে, ঠিক কোন বইটা সে পড়তে চায়।
প্রতিযোগিতা
ই-বুক যতটা না জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বর্তমানে সবখানে, ততটাই হারাচ্ছেও। আর এর পেছনে কাজ করছে মোবাইলের উত্কর্ষতা। ‘প্রতিনিয়ত মোবাইলের স্ক্রিনগুলো বড় হচ্ছে, আর সঙ্গে সঙ্গে এটি তার জমকালোভাবটাও হারিয়ে ফেলছে’-বলেন জিম হিংকস।

অনেক ধরনের নতুন নতুন ব্যাপার তৈরি করে সবাইকে ই-বুক এর দিকে টেনে রাখতে চাইছে প্রতিষ্ঠানগুলো। রুক নামের একটি ই-প্রতিষ্ঠান বর্তমানে বিনা মূল্যেই কিছু কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় বই ডাউনলোডের সুবিধা দিচ্ছে সবাইকে।
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বুকমেশিনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা লরা সামারসের মতে বর্তমানে মোবাইলে খেলা, খবরের কাগজ, অ্যাপসসহ আরো অনেক বেশি জিনিসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হচ্ছে ই-বুককে। ফলে খানিকটা হলেও মনযোগ হারাচ্ছে এটি পাঠকদের। আর সত্যি বলতে কী কোথাও বসে হাতে এক কাপ কফি নিয়ে বই পড়া আর একটা যন্ত্রের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার ভেতরে অনেকটা পার্থক্য রয়েছে।
এ ছাড়া দিনকে দিন নানারকম প্রযুক্তির বাজে দিকগুলোর সামনে আসতে শুরু করেছে। মানুষ খুব দ্রুত নতুন সমস্যার মুখোমুখি হতে শুরু করেছে প্রযুক্তির মাধ্যমে। কখনো সেটা শারীরিক, কখনো মানসিক। আর তাই বলা যায়, ই-বুক মানব জীবনকে যতটা বেশিই আচ্ছন্ন করে ফেলুক না কেন ছাপা হরফের বই এর চাহিদা কখনোই শেষ হয়ে যাবেনা! প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নয়, সহায়ক হিসেবেই প্রতিটা সময় কালো কালিতে ছাপা বই এর পাতার পাশে থাকবে ই-বুক সবসময়।

কর্মজীবী মায়েদের সন্তানকে দিবাকালীন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের খোঁজখবর



কর্মজীবী মা-বাবা অফিস সময়টায় শিশুকে নিরাপদে রাখতে খোঁজেন দিবাযত্ন কেন্দ্র। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে নগরে গড়ে উঠেছে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র, যেখানে নির্দিষ্ট ফি’র বিনিময়ে দেখাশুনা করা হয়। জেনে নিন কিছু চাইল্ড ডে কেয়ার সেন্টারের নাম-ঠিকানা ও ফোন নম্বর
শিশু আলয় ডে কেয়ার সেন্টার, আইসিডিডিআরবি
এটি দুই মাস থেকে চার বছর বয়সের শিশুদের পূর্ণাঙ্গ ডে কেয়ার সেন্টার।
ঠিকানা : ৬৮ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সরণি, মহাখালী, ঢাকা-১২১২।
ফোন : ৮৮৬০৫২৩-৩২ (এঙ্. ৩৬৪৬)।
কেন্দ্রটি শুক্র ও শনিবার ছাড়া সপ্তাহের অন্য দিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

খিলগাঁও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র
ঠিকানা : ৯২১ ব্লক-সি, রোড-৭, খিলগাঁও, ঢাকা।
ফোন : ০১৭১১৪৬৬০৯২।

ছায়ানীড় প্রি-স্কুল ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি কক্ষ নিয়ে। কক্ষ নম্বর ২।
অবস্থান : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পশ্চিম দিক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাইনবোর্ড থেকে ভেতরে প্রবেশ করে প্রথম বিল্ডিংয়ের ডান দিকে সোজা যেতে হবে।
ফোন : ০২-৯৬৬১৯২০, ০১৮১৬৭১৯২২৩। এখানে শিশুকে রাখতে হলে শিশুর মা-বাবা দুজনকেই চাকরিজীবী হতে হবে।
শুক্রবার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটির দিনে ছায়ানীড় বন্ধ থাকে।

এসওএস চিলড্রেন ভিলেজ
প্রতিষ্ঠানটির দেখভাল ও ব্যয়ভার আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা কর্তৃক বহন করা হয়।
ঠিকানা : ১ শ্যামলী, মিরপুর রোড, ঢাকা-১২০৭।
ফোন : ৮৮-০২-৮১১৮৭৯৩, ০১৭১১৪০২৫৯৫।


অ্যাড্রয়েট ডে কেয়ার সেন্টার
সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে যে কয়টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অ্যাড্রয়েট ডে কেয়ার সেন্টার অন্যতম।
ঠিকানা : বাড়ি-৪৬, রোড-৯/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা।
ফোন : ০২-৮১৫৪৫৮১, ০২-৯১৪৩৯৭৪, ০১৭১১১৬৭২৪৬, ০১৭৩১৫১৫৫১১।
রেড সান ডে কেয়ার সেন্টার
ঠিকানা: আসাদ এভিনিউ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
ফোন: ০১৯১২২৭০১১৪।
অ্যাঞ্জেল কেয়ার
ব্লক-ই, লালমাটিয়া।
ছানাপোনার বসতবাড়ি
ঠিকানা: মিরপুর সাড়ে এগারো, মিরপুর, ঢাকা।